তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে প্রাণনাশের হুমকি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস‍্যের

26th September 2020 10:14 am বাঁকুড়া
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে প্রাণনাশের হুমকি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস‍্যের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢুকে উপপ্রধানকে গালিগালাজ,  মারধোর, টেবিলে থাকা কাগজপত্র ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠলো এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লক এলাকার মদনমোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা চেয়ে ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন উপপ্রধান তুষারকান্তি মণ্ডল।

  প্রসঙ্গত, তৃণমূল পরিচালিত  মদনমোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি সংসদের সদস্য শেখ জাকির আলি ওরফে লিটন। তার বিরুদ্ধেই উপ প্রধানকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠায় শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে এলো বলেই অনেকে মনে করছেন।   অভিযোগকারী উপপ্রধান তুষার কান্তি মণ্ডল পঞ্চায়েত সদস্য শেখ জাকির আলি সহ আরো দু'জন তাকে হেনস্থা করেছে দাবি করে বলেন, পুলিশ-প্রশাসন সর্বস্তরে জানানো হয়েছে। নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন জানিয়ে নিরাপত্তা দাবি করেন।  সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রবীর গরাই বলেন, শুধু মদনমোহনপুর নয়, মীর্জাপুর সহ অন্যান্য পঞ্চায়েতেও এই ঘটনা শুরু হয়েছে। 'দলের ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের পর এক শ্রেণীর নেতৃত্ব পঞ্চায়েত গুলি ও পঞ্চায়েত সমিতি হাতের পুতুলে পরিনত'করার চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।   এবিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক ও তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তিনি খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।